রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

উত্তপ্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতি, পদত্যাগের ঘোষণা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

বিরোধীদের ‘দমন করতে’ আকস্মিক সামরিক আইন জারির ঘটনায় উত্তপ্ত দক্ষিণ কোরিয়া। এরই মাঝে দেশটির জাতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন।

গতকাল মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল হঠাৎ করেই ‘উত্তর কোরিয়াপন্থীদের’ হুমকির কথা উল্লেখ করে সামরিক আইন জারি করেন। পার্লামেন্টে বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড’র অভিযোগ তোলেন।

মঙ্গলবার আকস্মিক সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় ৫০ বছরের মধ্যে এশিয়ার গণতান্ত্রিক এ দেশটিতে আকস্মিক সামরিক আইন জারির ঘোষণায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েন নাগরিকরা। দ্রুতই এটা পরিষ্কার হয়ে ওঠে বাইরের কোনো হুমকিতে নয়, বরং বিরোধী দলকে ‘দমন করতে’ এ সিদ্ধান্ত নেন ইউন সুক।

ঘটনার প্রতিবাদে পার্লামেন্টের বাইরে গতকাল রাতেই সমবেত হন হাজার হাজার মানুষ। একই সময় প্রেসিডেন্টের ওই পদক্ষেপ জরুরি এক ভোটাভুটির মাধ্যমে আটকে দিতে পার্লামেন্টে ছুটে যান আইনপ্রণেতারা।

পরে সর্বসম্মতিক্রমে ভোটে হেরে যান প্রেসিডেন্ট ইউন। এর কয়েক ঘণ্টা পর তিনি আবার হাজির হন। রায় মেনে নেওয়ার কথা জানিয়ে ঘোষণা দেন সামরিক আইন প্রত্যাহারের। এমন প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট নিজের দল থেকেই বহিষ্কারের শিকার হতে পারেন।

এমন উত্তপ্ত পতিস্থিতিতে আজ বুধবার গণমাধ্যমে শেয়ার করা এক বার্তায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন জানান, জরুরি সামরিক আইনের কারণে সৃষ্ট অস্থিরতার জন্য তিনি নিজেকে দায়ী মনে করছেন।

তিনি জনগণের মাঝে ‘বিভ্রান্তি ও উদ্বেগ সৃষ্টির জন্য’ ক্ষমা চেয়েছেন। কিম বলেন, আমি সামরিক আইন সংক্রান্ত সব ঘটনার দায়িত্ব নিচ্ছি এবং প্রেসিডেন্টের কাছে আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।