রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আতঙ্কে মুম্বাই ছাড়লেন সালমান

কঠিন সময় পার করছেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। বাবা সিদ্দিকীর মৃত্যুর পর একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি। কখনো ফোনে, কখনো চিঠিতে, আবার কখনো সরাসরি শুটিং ফ্লোরে ঢুকে হুমকি। লরেন্স বিষ্ণোই দলের নিশানায় অভিনেতা। সালমানের চারপাশে এখন ২৪ ঘণ্টাই কড়া নিরাপত্তা। সব মিলিয়ে এক ধরনের আতঙ্কেই দিন কাটছে বলিউড ভাইজানের।

এসবের মাঝেই হঠাৎ করে বাবা সিদ্দিকীর ছেলের সঙ্গে মুম্বাই ছাড়লেন ভাইজান। শুক্রবার মুম্বাই বিমানবন্দরে দেখা যায় সালমানকে। সঙ্গে বাবা সিদ্দিকীর ছেলে জিশান সিদ্দিকী। ছিলেন সালমানের দেহরক্ষী শেরাও। তা কোথায় গেলেন অভিনেতা? বিমানবন্দরে পাপারাজ্জিরা সালমানের ছবি তুললেও তিনি কোথায় যাচ্ছেন, তা ফাঁস করেননি। হঠাৎ শহর ছাড়ার কারণে এই সপ্তাহান্তে ‘বিগ বস’-এর ‘উইকেন্ড কা ওয়ার’-এও থাকবেন না সালমান। তার পরিবর্তে সঞ্চালনা করবেন কোরিওগ্রাফার ফারাহ খান।

উল্লেখ্য, প্রথমে বন্ধু বাবা সিদ্দিকীর হত্যা। এরপর একের পর এক খুনের হুমকি। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নাম জড়ানোর পর থেকেই লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নেতৃত্বাধীন বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সালমান খান। আতঙ্ক বাড়ে বাবা সিদ্দিকীর হত্যাকাণ্ডের পর থেকে। দশেরার দিন বাবা সিদ্দিকীকে হত্যা করা হয়।

এর আগে পূর্ব বান্দ্রায় বাজি ফাটাচ্ছিলেন এনসিপি (অজিত) নেতা। সেই সময় তার ওপরে দুষ্কৃতদের হামলা হয়। আচমকাই সেখানে হাজির হয় তিন দুষ্কৃতকারী। তারা লাগাতার গুলি চালাতে থাকে। গুলি দেহ ভেদ করে সিদ্দিকীর শরীর। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন বাবা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় মৃত্যু হয় সিদ্দিকীর। এ ঘটনায় একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বন্ধুর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে হাসপাতালেও ছুটে গিয়েছিলেন সালমান খান।

শোনা যাচ্ছে অত্যন্ত ভেঙে পড়েছেন তিনি। কিন্তু হুমকির শেষ নেই। এর আগে হুমকি বার্তায় পাঁচ কোটি টাকার দাবি করা হয়েছিল। সেই ঘটনার অভিযুক্ত হিসেবে জামশেদপুরের এক সবজি বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যেই আবার কিছু দিন আগে সালমান খান ও বাবা সিদ্দিকীর ছেলে তথা মুম্বাইয়ের বান্দ্রা-পূর্ব আসনের বিধায়ক জিশান সিদ্দিকীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে নয়ডা থেকে ২০ বছরের এক যুবককে পাকড়াও করা হয়েছে। কিন্তু তার পরও হুমকির পালা অব্যাহত।