দক্ষিণ সুদানের জুবা এবং মালাকাল এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনী ফোর্স মেরিন ইউনিট (ব্যানএফএমইউ-10) এর ১৯৯ সদস্য এই মর্যাদাপূর্ণ শান্তিরক্ষা পদক লাভ করেছেন। এর স্বীকৃতিতে গত বুধবার জুবাতে একটি বিশেষ মেডেল প্যারেডের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড নেশনস মিশন ইন সাউথ সুদান (আনমিস)-এর ফোর্স কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহান সুব্রামানিয়াম, যিনি প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন। তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকদের সম্মানে এই মেডেল প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে আনমিসের হেডকোয়ার্টারের কর্মকর্তারা এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
মেডেল প্যারেডে ফোর্স কমান্ডার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রশংসা করেন এবং তাদের সাহসিকতা ও দক্ষতার মাধ্যমে এতটুকু পরিবেশে শান্তিরক্ষা কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ নৌবাহিনী এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। নীল নদে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতেও তারা অপারেশন চালাচ্ছে, জ্বালানি, খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি পণ্যসমূহ পরিবহনে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। এছাড়াও নদীতে নিয়মিত টহল, উদ্ধার ও ডাইভিং অপারেশন, রেকি চালানো এবং জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাগুলির নদী পথ নিরাপদ করার জন্য মাঠে কাজ করছে তারা। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রেসক্লাবকে এই কাজে সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও এই অবদান অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। বিশেষ করে, তারা আনমিসের একমাত্র মেরিন ফোর্স হিসেবে কাজ করছে, যেখানে দেশের দীর্ঘ ১৩১১ কিলোমিটারের নদী পথে বিভিন্ন সম্পদ ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারা ৭১টি লজিস্টিক অপারেশনের মাধ্যমে এই মিশনের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করছে। মোতায়েনের পর থেকে তারা দক্ষিণ সুদানের সরকারের সাথে কাজ করে দেশটির উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখে চলেছে।”
অন্যদিকে, উত্তাল ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশের যুদ্ধজাহাজ বানৌজা সংগ্রাম বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠায় গৌরবময় ভূমিকা পালন করছে, দেশের পতাকা উড়িয়ে মহাদেশীয় ও আন্তর্জাতিক জলসীমায় প্রশংসিত হয়ে চলেছে।