শুক্রবার, ৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও সক্রিয় হয়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার সন্ধ্যার পর দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রের তথ্যানুযায়ী, গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১.৩৩ বিলিয়ন ডলার। একইসময়, আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থার (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ হচ্ছে ২৬.৩১ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে, গত রোববার দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩০.৮৬ বিলিয়ন ডলার, আর আইএমএফের পদ্ধতিতে হিসাব করে তা ছিল ২৫.৮৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ২.০২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর দেশটির রিজার্ভ কিছুটা কমে যায়। তখন গ্রস রিজার্ভ হয়েছিল ২৯.৫৩ বিলিয়ন ডলার, আর বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৪.৫৬ বিলিয়ন ডলার।

অপরদিকে, রেমিট্যান্সবান্ধব প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থার ঋণের কারণে, গত জুনের শেষে দেশের রিজার্ভ দিয়ে বাংলাদেশের মোট মূল্য ছিল ৩১.৭২ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২২ সালের ২৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে, মার্চ ২০২৩ এর শুরুতে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার নিচে নেমে গিয়েছিল। একই সময়ে, বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৬.৬৯ বিলিয়ন ডলার, আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুযায়ী জুনে তা ছিল ২৪.৭৫ বিলিয়ন ডলার।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রিজার্ভের মাইলফলক ২০২১ সালের আগস্টে অর্জিত হয়েছিল, যখন রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার। এরপর ধারাবাহিক ভাবে কমে গিয়ে, ২০২৩ সালের জুলাই শেষে রিজার্ভ ছিল প্রায় ২০.৪৮ বিলিয়ন ডলার। সরকার পতনের পর থেকে অর্থপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের কারণে ডলারের প্রাপ্যতা বাড়তে শুরু করে। এছাড়াও, হুন্ডি মারফত অবৈধ অর্থপ্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে, প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয় প্রায় ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।