বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, একটি দেশের উন্নতি ও অগ্রগতি মূলত তার ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতির উপর নির্ভর করে। তাই সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো উদ্যোক্তাদের জন্য একটি নিরাপদ ও সুস্থ পরিবেশ সৃষ্টি করা, যেখানে ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। তিনি বলেন, যদি একজন সরকার এই দায়িত্ব পালন করতে পারে, তাহলে ব্যবসায়ীরা নিরাপদে তাঁদের ব্যবসা চালাতে পারবেন এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে অবদান রাখতে পারবেন।
পরওয়ার আরো বলেন, দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার লোভে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কালোবাজারি করে জিনিসপত্রের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন, ফলে দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। তবে সৎ, ন্যায্য এবং বিবেকসম্পন্ন মানুষ এ রকম কর্মকাণ্ডে জড়িত হন না। জামায়াতের মূল লক্ষ্য হলো, এই দেশের সৎ ও নৈতিক মানুষদের দ্বারা ব্যবসা পরিচালিত হওয়া।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, বর্তমানে ব্যবসায়ী সমাজের উপর এক ধরনের চ Roadে চাঁদাবাজি এবং অমানবিক ঘটনা চলমান, যেখানে অনেক ব্যবসায়ী চাঁদা না দেওয়ায় হামলার শিকার হন বা প্রাণ হারাতে পারেন, যা জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগকেও হার মানায়। আমরা এই বর্বর সমাজ চাই না। বরং আশা করি, আল্লাহর রহমত ও জনগণের любвиয়ে যদি জামায়াত সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়, তাহলে ব্যবসায়ীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি হবে। চাঁদাবাজি ও হিংসাত্মক অপরাধের অবসান ঘটবে, কোন ব্যবসায়ী জীবনের নিরাপত্তা হারাবেন না এবং পালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
এসময়, তিনি ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার আহ্বান জানান। বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ফুলতলা বাজারের গামছা চান্দিনায় অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও সমাজের মানুষের সাথে মতবিনিময় সভায় এই বক্তব্য দেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যবসায়ী মোঃ শাহজাহান মোল্লা। উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুন্সী মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মিয়া গোলাম কুদ্দুস, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক গাওসুল আযম হাদী, বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ী-সামাজিক ব্যক্তিত্বগণ।
এছাড়া, ডুমুরিয়া অঞ্চলে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার শুক্রবার দিনব্যাপী জনসংযোগ ও ভোটার সমাবেশে অংশ নেন। হাসানপুর সরকারি প্রাইমারি স্কুল মাঠে এই সমাবেশে জনপ্রতিনিধি, নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জামায়াতের খুলনা জেলা সেক্রেটারি মুন্সী মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মিয়া গোলাম কুদ্দুস, বিভিন্ন স্থানীয় নেতা, ছাত্র-শিবিরের কেন্দ্রীয় ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ। এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় অর্থাৎ, এক সুসংগঠিত ও ন্যায্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে জামায়াতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।