রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলের মাজারে হামলার ঘটনার মোটিভ ও পরিস্থিতিতে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শনিবার সকালে পুলিশ এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে গ্রেফতার ব্যক্তিদের নাম এখনও প্রকাশ হয়নি।
গত ৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার রাতে জুমার নামাজের পর ঘটনাটি ঘটে। ওই দিন, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা নুরাল পাগলের দরবারে হামলা চালায়। এই হামলার সময় পুলিশ ও স্থানীয়রা দমন-পীড়নের চেষ্টা করলে জনতার আতসবাজিত ঘরঘাটি বাধে। এতে গুলিতে একজন নিহত হন এবং অন্যের সঙ্গে আহত হন শতাধিক মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ কঠোর অবস্থান নেয় এবং হামলা প্রতিরোধে লাঠিচার্জ ও জলকামানা চালায়।
অভিযানের সময়ে পুলিশও হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের শিকার হয়। আহত পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে, হামলাকারীরা নুরাল পাগলের মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয় এবং কবরের উপরে নির্মিত স্থাপনাটিও ভেঙে ফেলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগল একমাস আগে মারা যান। তার ভক্তরা তাকে কবর দেন এবং কবরের উপরে একটি উচ্চ গঠন নির্মাণ করেন, যা দেখলে অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আপত্তি তুলেছেন। কিছুদিন ধরে এই বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
সে কারণে, শুক্রবার বর্ষীয়ান মুসল্লিরা জুমার নামাজের পর তৌহিদি জনতার ব্যানারে এক মতবিনিময় ও প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এই বিক্ষোভের শেষে তারা দরবারে হামলা চালিয়ে তার ভঙ্গুর কবর ভেঙে দেয়। পাশাপাশি, কবরের ভেতরে থাকা অর্ধ গলিত মরদেহও তুলে পুড়িয়ে দেন হামলাকারীরা।
এখন গোয়ালন্দে এই ঘটনার প্রভাব ও উত্তেজনা বজায় রয়েছে, আর পুলিশ এর তদন্ত ও কারাদণ্ডের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।