সোমবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

১৪, ১৮ ও ২৪ সালের নির্বাচনের ভুল যেন আবার না হয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরপেক্ষতা এবং পেশাদারিত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা ভুলে যাওয়া উচিত, যেন আগামীর ভোটগুলো শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর এবং অংশগ্রহণমূলক হয়।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এই প্রশিক্ষণটি নির্বাচনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য পরিচালিত হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন শুধু পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার দায়িত্ব নয়। রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন এবং সাধারণ জনগণের সঙ্গেও সমন্বয় Wichtig। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করে একটি স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।

পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে কাজ করবেন না। মনোযোগ দিন জনগণের দিকে। পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন। মনে রাখবেন, আমাদের লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সবার অংশগ্রহণে সফল করা।

প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মাস্টার ট্রেইনারদের জন্য নির্বাচনের কৌশল নিয়ে প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়েই শুরু হয়েছে, এবং এখন মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ চালু হচ্ছে। এর ফলে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পুলিশের স্বচ্ছ নিয়োগ ও পোস্টিং নিয়ে তিনি জানান, এইবারের নিয়োগ প্রক্রিয়া অত্যন্ত সৎ ও নির্বিঘ্ন ছিল। কাউকে মন্ত্রালয় থেকে সরাসরি সুপারিশ করা হয়নি। নিয়োগ এবং পোস্টিং সম্পূর্ণ লটারি পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়েছে, যা ভবিষ্যতেও চালু থাকবে।

এছাড়াও, তিনি অতীতের কিছু সফলতার ব্যাপারে সঠিক প্রচার না হওয়ার দুঃখ প্রকাশ করেন। বলেন, সফলতার খবর বেশি প্রচার হয় না, তবে ব্যর্থতাগুলো ব্যাপকভাবে দেখা হয়।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কিছু অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য জঙ্গি ও ফ্যাসিস্ট সহযোগীদের চক্রান্তের উল্লেখ করে বলেন, সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত কিছু ব্যক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম এখনও চলমান, এবং পূজার সময় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

নির্বাচনের আগে নিরাপত্তা, রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের মান বজায় রাখতে হবে বলে গুরুত্ব দেন তিনি। শেষ সবকিছু মিলিয়ে, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।