সোমবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

৩০ রাজনৈতিক দলের দাবি: জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ হোক

জাতীয় পার্টি (জাপা) ও তার সহযোগী দলগুলির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ৩০টিরও বেশি مختلف রাজনৈতিক দলের নেতারা। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত এক সংহতি সমাবেশে তারা এ দাবি ব্যক্ত করেন। এই সমাবেশের মূল লক্ষ্য ছিল, গণহত্যার নিচে থাকা জনতাদের পরিস্থিতি তুলে ধরা ও সরকারের কঠোর পদক্ষেপ দাবির মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে সংশোধনের আহ্বান জানানো।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার পতনের পরও, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি একই রকম অব্যাহত আছে; বিশেষ করে, নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। নেতারা দাবি করেন, এই হামলার সঙ্গে জাপা ও লক্ষাধিক সহযোগী দলের যোগ রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বুনিয়াদ নড়ে গেছে। তারা আরও বলেন, জাতীয় পার্টি এবং এই জোটের সদস্যরা অবিলম্বে নিষিদ্ধ হওয়া জরুরি, কারণ তারা দেশের স্বরাজ্য সরকারের স্থিতিশীলতা নস্যাৎ করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল বলেন, দেশে স্বৈরাচার শেষ হয়েছে; তবে, কিছু দুর্বৃত্ত এখনও নুরুল হক নুরের ওপর হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন স্তরে বহিরাগত দোসররা রয়ে গেছে, তাঁদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।

জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারা মন্তব্য করেন, এই হামলা দেশের উপর আঘাত, এটি হচ্ছে দেশের গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। তারা বলেন, এই ধরনের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আবারও ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার চেষ্টা চলছে; নতুন করে সব ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে কিছু গ্রুপ। তারা দাবি করেন, এমন পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ চাই একটি মুক্ত, স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ যেখানে কোনো ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারিত্বের স্থান নেই।

সভাপতির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, নুরের ওপর হামলায় জড়িত সেনা ও পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত তদন্ত কমিটি গঠন হলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। সরকারের উচিত অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ এবং নুরের চিকিৎসার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। তিনি আরও বলেন, যদি এই দাবি মানা না হয়, তাহলে তারা সচিবালয় ঘেরাও করবেন। তারা স্পষ্ট করে বলেন, বাংলাদেশে এখন থেকে আর চাইলেই জাপাকে রাজনীতি করতে দিতে চলবে না।

এছাড়াও বিভিন্ন দলের নেতারা তাদের দৃঢ়সংকল্প প্রকাশ করে বলেন, তারা যেনতেনভাবে নির্বাচন চায় না, বরং সংস্কার দ্বারা নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি শান্ত ও সুষ্ঠু করতে চান। এ সময়, তারা নতুন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

বেলা বারোটার পর থেকে শুরু হওয়া এই সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশের সকল মিডিয়া ও প্রশাসন যেন সত্যের পক্ষে দাঁড়ায় এবং জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এবং সরকারকে সতর্ক করে দেন, এই ধরনের ষড়যন্ত্র আর সহ্য করা হবে না। বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেছেন, দেশের ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।