রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভয়াবহ ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে। এ ঘটনায় কার্যালয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার নিশ্চিত করেছেন যে, আগুনের খবর তারা পেয়েছেন, এবং তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এটি কোনো সহিংসতার অংশ, তাই অনুমতি পেলেই তারা ঘটনাস্থলে যাবেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৭টার পর বিক্ষোভকারীরা প্রথমে কার্যালয়টি ভাঙচুরের চেহারা নেয়। ভাঙচুরের পর তারা আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে সাড়ে ৭টার দিকে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী উপস্থিত হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে। সেই সময় পুলিশ-প্রদর্শকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর আগে, ৩১ আগস্ট কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল নিয়ে বিক্ষোভকারীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে বলে জানা গেছে। দলটির নেতারা অভিযোগ করেন যে, গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে। জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল করিম ভূঁইয়া বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ ব্যানার নিয়ে মিছিল করে আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে। তারা দাবি করছে যে, জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ করতে তারা এ ধরনের কাজ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের জন্যই এইগুলো হচ্ছে। কেননা, আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি, তাই এসব বাধা সৃষ্টি করছে। তারা বলতে চাইছে, ছাত্রলীগের কার্যক্রম এখন এনসিপি চালাচ্ছে, যা দেশের জন্য ক্ষতিকর। জাতীয় পার্টি একটি শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে থাকছে, এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এটি বড় বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে।’
পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ‘তারা এসে আগুন লাগিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জলকামান দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি ঠিক আছে।’