সোমবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সরকারের কাছে ৬ মাসে ১.২৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থা গত জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত মোট ১.২৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছে। আজ (২৮ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ বোর্ড সভায় এ তথ্য প্রকাশিত হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। তিনি ছাড়াও উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়্যারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

সভায় জানানো হয়, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে প্রাপ্ত বিনিয়োগের প্রস্তাবের মধ্যে প্রায় ৪৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশি বিনিয়োগের। এর পাশাপাশি স্থানীয় বিনিয়োগ এসেছে ৭০০ মিলিয়ন ডলার এবং যৌথ বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে মোট ৮৫ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে, যার পরিমাণ প্রায় ৩৩০ মিলিয়ন ডলার। এছাড়াও, সিঙ্গাপুর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠানগুলোও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।

সভায় জানানো হয়, প্রস্তাবগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়েছে ২৩১ মিলিয়ন ডলারের। মোট প্রস্তাবের প্রাথমিক পর্যায় থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে রূপান্তরের হার প্রায় ১৮ শতাংশের মতো, যা গোটা বিশ্বে গড়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে।

বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট কমানোর জন্যও আলোচনা হয়। সেখানে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি কন্টেইনার পড়ে থাকায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে। বর্তমান সরকারের সময় বিডা বন্দরে কার্যক্রম দ্রুত করার জন্য একাধিক উদ্যোগ নেয়, যার অংশ হিসেবে গত দুই মাসে ১ হাজার কন্টেইনার নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ নিলামের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে নির্দেশনা দেয়।

আশাকরি, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে আরও ৫০০ কন্টেইনার নিলামে তোলার কাজ চলমান থাকবে, এবং নিলামের পণ্য হস্তান্তর প্রক্রিয়াও চালু থাকবে। একই সময়ে, বাংলাদেশ বিজনেস পোর্টাল (বিবিপি) চালুর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।

বিডা, বেজা, বেপজা ও বিসিকের পরিষেবাগুলোকে একত্রিত করে একটি সমন্বিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। এই পদ্ধতিতে ব্যবসায়ীরা সহজে সকল পরিষেবা পাবে। আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এই প্ল্যাটফর্মের সফট লঞ্চিং এবং সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ পূর্ণাঙ্গ চালু নিশ্চিত করা হবে বলে জানা গেছে।

সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস হাউজসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।