ক্ষমতায় আসার আগে গরুর মাংস রপ্তানি নিয়ে কট্টর সমালোচনা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি, কিন্তু তার শাসনামলে এই শিল্প চূড়ান্ত বিকাশ লাভ করেছে। বর্তমানে ভারতের গোমাংস শিল্প ৬৫টি দেশে রপ্তানি করছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য অনেক বড় এক সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বছর বছর এই খাতের রপ্তানি দিচ্ছে দেশটি প্রায় ৪৩ কোটি ডলার আয়, যেখানে ভারত এখন বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম গোমাংস রপ্তানিকারক দেশ। এটি রপ্তানি করছে বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে উপসাগরীয় দেশগুলোতে, যেখানে ভারতের গরু ও মহিষের চাহিদা খুবই উচ্চ।
ভারতের গোমাংস রপ্তানি শুরু হয় ১৯৬০-এর দশকে। তবে মোদির শাসনামলে এক দশকেরও বেশি সময়ে এই শিল্পের বিকাশ অনেক গুণ বেড়েছে। বর্তমানে ভারতের অন্যতম বড় গরুর মাংস রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। দেশে প্রচুর গরু এবং মহিষ রয়েছে—বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মহিষ বাংলাদেশের বাইরে ভারতেই দেখা যায়, যার সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি পঞ্চাশ লাখ। প্রতিদিনই ভারত থেকে প্রায় ১৫ লাখ ৩০ হাজার টন গরুর মাংস বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়।
প্রাকৃতিক চারণভূমিতে বেড়ে ওঠা গরু ও মহিষের কারণে এই মাংসের চাহিদাও ব্যাপক। যদিও গরু ও মহিষের মধ্যে মাংসের রপ্তানি নিয়ে ভারতে কিছু বিতর্ক রয়েছে, বিশেষ করে গরুর মাংসের বৈধতা ও ধর্মীয় বিষয়গুলো নিয়ে। তবে অনেক উপসাগরীয় দেশ ও বাইরের বাজার এই মাংসের চাহিদা বাড়িয়ে চলেছে। বিশেষ করে হিন্দু ব্যবসায়ীদের মধ্যেও এই শিল্পে যুক্ত থাকার স্বীকৃতি বাড়ছে, কারণ এটি বড় একটি ব্যবসায়িক সম্ভাবনা।
সার্বিকভাবে দেখা যায়, মোদির আমলে ভারতের গোমাংস শিল্পের বিকাশ নতুন পর্যায়ে পৌছেছে, যা দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায় নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।