কক্সবাজার সমুদ্রে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়ার একদিনের ভেতরে মারা গেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকা মুশফিকুর রহিমের ভাইঝি, মোহাম্মদ আহনাফ। গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে সৈকত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়, যা প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে গভীর সমুদ্রে খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া গেল। আহনাফ বগুড়া পৌরসভার কাটনারপাড়া ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের ভাইঝি।
ঘটনাটি ঘটে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে, যখন আহনাফসহ আরও দুই কলেজ শিক্ষার্থী লাবণী পয়েন্টের সৈকতে গোসলের জন্য নামে। ওই সময় ঢেউয়ের প্রভাবে তারা সাগরে ভেসে যান। ফায়ার সার্ভিস, লাইফগার্ড এবং জেলা প্রশাসনের যৌথ effort-এ রাত পর্যন্ত তাদের সন্ধান চালানো হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে, শেষ পর্যন্ত সোমবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় আহনাফের মামা, মোহাম্মদ মোজাহিদুর রহিম, জানান যে, পরিবারের পক্ষ থেকে মরদেহের লাশ ময়নাতদন্ত না করেই দাফনের আবেদন জানানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ বগুড়ায় নিয়ে আসা হবে।
কক্সবাজারের সি সেইফ লাইফগার্ডের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ আহমদ বলেন, সৈকতের কিছু অংশে গুপ্তখাল রয়েছে যা বিপদজনক। লাবণী পয়েন্টের যে স্থানে সে নিখোঁজ হয়, সেখানে আগেই সতর্কতাসঙ্কেতের লাল পতাকা উড়ানো ছিল। তারা পর্যটকদের অনুরোধ করেন, সমুদ্রে নামার আগে সতর্ক থাকুন ও লাইফগার্ডের নির্দেশনা মানুন।
প্রসঙ্গত, এর আগে এই বছরের জুলাইয়ে হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতেও একইভাবে গোসলে গিয়ে তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছিলেন। যাদের মধ্যে দুজনের লাশ পাওয়া গেলেও অরিত্র হাসানের মরদেহ এখনও উদ্ধার হয়নি। অনুরুপ গত এক বছরে সমুদ্রে গোসল করতে নেমে ১২ জন পর্যটক প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে ৭৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই সব ঘটনা থেকে জানা যায়, সমুদ্রে সুরক্ষার জন্য সচেতনতায় নেমে আসা পর্যটকদের আরো সতর্ক থাকা উচিত এবং প্রত্যেকের জন্যই লাইফগার্ডের নির্দেশনা মেনে চলা আবশ্যক।