মোংলা ও রামপালসহ বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন পুনঃবহালের দাবিতে সংঘটিত হচ্ছে ব্যাপক হরতাল। প্রথম দিনের এই অবরোধের কারণে মোংলার সব পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পরিবর্তে থেমে গেছে। সোমবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই হরতাল চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত, যেখানে নদী পারাপার, ইপিজেড, মোংলা বন্দরসহ সব ধরনের শিল্প ও সরকারি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়াও সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে পরিবহন ও নৌপরিবহন বন্ধ রেখেছেন হরতালকারীরা। সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতৃবৃন্দের নির্দেশে এ কর্মসূচি আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চালানো হবে। এই প্রথম দিন, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন এবং মোংলা-ঘষিয়াখালী নৌকানাল দিয়ে সব নৌচলাচল বন্ধ রয়েছে। নদীর দুই পাশে ইপিজেডের গার্মেন্টস শ্রমিকসহ শত শত মানুষ কর্মস্থলে যেতে পারছেন না। দুরপাল্লার বাসগুলোও শহর থেকে ছেড়ে যায়নি, ফলে সাধারণ মানুষের জীবনমান বিঘ্নিত হয়েছে। সকাল থেকে মোংলা শহরজুড়ে সড়ক-মহাসড়কে টায়ার জ্বালানো হয়েছে এবং বিভিন্ন মোড়ে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে হরতাল কার্যক্রমে সহায়তা করছে। এছাড়াও তারা নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং মোংলা উপজেলা নির্বাচন অফিসের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন স্বাধীনতার পর থেকে থাকছে। তবে ৩০ জুলাই আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচ কমিশন একটি প্রাথমিক প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে এই চারটি আসন একটিকে তিনটিতে পরিবর্তন করার প্রস্তাবনা থাকছে। এর বিরুদ্ধে মোংলা ও বাগেরহাটবাসী দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। আসন্ন সিদ্ধান্তে যদি নির্বাচন কমিশন তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে, তবে তারা আরো কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন।
