শুক্রবার, ১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে টেকসই ভেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তা হলে উপকূলীয় জনপদ কয়রায় টেকসই ও স্থায়ী ভেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। এই লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণের ভোটে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। তিনি আওয়ামীলীগের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ভোগ করে প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন-পীড়ন চালিয়েছে। মিথ্যা মামলায় হয়রানি, গুম, খুনের মাধ্যমে একটি স্বৈরশাসন চালানো হয়েছে, যার মাধ্যমে তারা প্রায় লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করে জনস্বার্থের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়েছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ শক্তিহীন হয়ে দেশের বাইরে পালিয়ে গেছে, যার মধ্যে দলের শীর্ষ নেতারা থাকলেও অনেক নেতা-কর্মীও পালিয়ে গেছে। এ ঘটনা বিশ্বের ইতিহাসে অনন্য ও নজিরবিহীন। তিনি বিশ্বাস করেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের জনগণ ধানের শীষে ভোট দিয়ে তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে অত্যন্ত আগ্রহी।

আজিজুল বারী হেলাল এ কথা বৃকেল বিকেল ৩টার সময় কয়রা মদিনাবাদ সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে কয়রা উপজেলা যুবদলের আয়োজনে এক তরুণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন। এই সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন যুবদলের খুলনা জেলা আহ্বায়ক মো. শরিফুল আলম, ও সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব মোহতাসিম বিল্লাহ ও সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়াক এহছানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এড. মোমরেজুল ইসলাম, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ডাক্তার আব্দুল মজিদ, ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ডাইরেক্টর সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজি।

প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন খুলনা জেলা যুবদলের আহ্বায়াক এবাদুল হক রুবায়েত, এবং বিশেষ বক্তা ছিলেন খুলনা জেলা যুবদলের সদস্য সচিব নাদিমুজ্জামান জনি। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা বিএনপি’র সদস্য এম এ হাসান, মনিরুজ্জামান বেল্টু, আবু সাইদ বিশ্বাস, খুলনা জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক রুবেল মীর, ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুর রহমান শাওন, যুবদল নেতা হাবিবুন্নবী, পীর আলী, জাকারিয়া আহমেদ, নাসির উদ্দিন, কয়রার বিএনপি নেতা শেখ সালাউদ্দিন লিটন, সরদার মতিয়ার রহমান, এফ এম মনিরুজ্জামান মনি, এড. মঞ্জুর আলম নান্নু, গাজী সিরাজুল ইসলাম, আঃ সামাদ, আবুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম, হাফিজুর, রওশন মোল্যা, আবুল বাশার ডাবলু, মঞ্জুর মোর্শেদ, যুবদল নেতা আকবার হোসেন, হাফিজুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ কাজল, আছাদুল ইসলাম, ইউনুস আলী, আনারুল ইসলাম ডাবলু, আহাদুর রহমান লিটন, দেলোয়ার হোসেন, কৃষক দল নেতা এস এম গোলাম রসুল, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা গোলাম মোস্তফা, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নুর ইসলাম খোকা, ডিএম হেলাল উদ্দিন, রবিউল ইসলাম, মহিলা দলের দিলরুবা মিজান, জাসাসের জামাল ফারুক জাফরীন, শ্রমিক দলের আকবার হোসেন, ছাত্রদল নেতা আরিফ বিল্লাহ সবুজ, মাহমুদ হাসান, ছাত্র নেতা ইমরান হোসেন, মামুন হোসেইন প্রমুখ।