শনিবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশির হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশের নিন্দা

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে তিন বাংলাদেশিকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে। শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। এর আগে, গত বুধবার ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশিকে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি পিটিয়ে হত্যা করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিহত তিনজনের মধ্যে রয়েছেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পণ্ডিত মিয়া (৪০), সজল মিয়া (২৫) এবং জুয়েল মিয়া (৩৫). তাঁরা সবাই পেশায় দিনমজুর।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ত্রিপুরায় একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা এই নির্মম ঘটনা ঘটিয়েছে, যা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আইনের শাসনের পরিপন্থী। বাংলাদেশ সরকার এই জঘন্য ঘটনার ব্যাপারে গভীর দুঃখ প্রকাশ করছে এবং ভারতের কাছে অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানাচ্ছে। এ ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ড পুনরায় না ঘটানোর জন্য ভারতকে আন্তরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়। দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনারও আহ্বান রয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সরকার জোর দিয়ে বলতে চায় যে, জাতি নির্বিশেষে যে কোনও ব্যক্তি অসাবধানবশত সীমান্তের কোনও পাশে যেতে পারে; কিন্তু তখনও তার মানবাধিকার সম্পূর্ণভাবে রক্ষা পায়।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনার বিষয়ে তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে, গত বুধবার ত্রিপুরার কারেঙ্গিছড়া এলাকায় গরুচোর সন্দেহে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি তিন বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে বিজিবি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানতে পারে, নিহত ব্যক্তিরা হবিগঞ্জের বাসিন্দা। এই তিনজনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে তাদের মরদেহ ত্রিপুরা রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে এনে চুনারুঘাটের বালার স্থলবন্দরে রাখা হয়। এই ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার ক্ষুব্ধ এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছে।