শনিবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আনসার ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার ও বরখাস্ত

বেনাপোল স্থলবন্দরে অবৈধ পণ্যচালান পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে আনসারের দুই প্লাটুন কমান্ডার অব্যাহতি পেয়েছেন এবং বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আল আমিন সিকদারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা গেছে, ২২ সেপ্টেম্বর বেনাপোল পোর্ট থানার ভবেরভেড় বাইপাস সড়কের ট্রাক টার্মিনালের সামনে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ঢাকা মেট্রো ট-২২-৭৫৬৬ নম্বরের একটি ট্রাক থেকে অবৈধ পণ্যচালান আটক করে। এর পর ২৩ সেপ্টেম্বর ব্যানেপোলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে উঠে আসে, ওই দিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালের ৯, ১০, ১১ নম্বর গেট ও ছোট আচড়া মোড়ে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা অবৈধ পণ্যচালানোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ দলের মধ্যে নাজমুল হক, কৃষ্ণ কুমার দাস, আনন্দ কুমার দাস ও মোঃ রাসেল শেখ ছিলেন। এছাড়াও, বন্দরের আনসার ক্যাম্পের প্লাটুন কমান্ডার অসিত কুমার বিশ্বাস ও ইয়ামিন কবিরের নাম ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

তদন্তের ভিত্তিতে, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এসব আনসার সদস্যের অবিলম্বে বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে প্রত্যাহার করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ১৫ অক্টোবর থেকে তাদের বায়োমেট্রিক হাজিরাও স্থগিত করা হয়েছে।

মাঝে, বেনাপোলের বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানি আল আরাফাত সার্ভিসেস লিমিটেডের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আল আমিন সিকদার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এর ফলে, কর্তৃপক্ষ তাকে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে বরখাস্ত করে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (উপ-সচিব) শামীম হোসেন রেজা নিশ্চিত করে বলেন, ‘যাতে কোনও ব্যক্তি বা ব্যক্তি গোষ্ঠী সন্দেহের আওতায় আর বন্দরে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে বন্দরে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আরও কঠোর নজরদারি ও নজরদারি জোরদার করা হবে।