মঙ্গলবার, ২১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ইসরায়েলের গাজায় বিমান হামলার পর যুদ্ধবিরতি পুনঃপ্রকাশ

গাজার দক্ষিণে ভয়াবহ বিমান হামলার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি পুনরায় কার্যকর করে ইসরায়েল। যদিও যুদ্ধবিরতি ঘোষণার সাথে সাথে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে, যার ফলে মানবিক পরিস্থিতি আরও সংকটময় হয়ে উঠছে। সোমবার (১৯ অক্টোবর) সকালে গাজার খান ইউনিস, নুসাইরাত, রাফাহ ও আল-জাওয়াইদা এলাকার ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হয়। আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এসব হামলায় অনেক মানুষ নিহত হন, যার মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। আহতদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আল-আওদা হাসপাতালের সূত্র জানায়, আল-জাওয়াইদা শহরে হামলার সময় এক ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের আল-কাসেম ব্রিগেডের একজন কমান্ডারসহ বেশ কয়েকজন নিহত হন। একই দিনে গাজার মধ্যাঞ্চলে একाबिकোয়াসা এলাকায় অন্য এক হামলায় একটি মিডিয়া প্রোডাকশন কোম্পানির ভ্যান ও সম্প্রচার সরঞ্জাম ধ্বংস হয়। এই ঘটনায় কোম্পানির একজন সম্প্রচার প্রকৌশলী এবং তার শিশুপুত্র নিহত হন। স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠনগুলো এ হামনাকে গভীরভাবে নিন্দা জানিয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অভিযান হামাসের ওপর হামলার জবাব হিসেবে চালানো হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ বলেন, হামাসকে এর চরম মূল্য দিতে হবে। তবে হামাসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য তাদের দোষ দেয়া ঠিক নয়, বরং ইসরায়েলই প্রথম হামলা চালিয়েছে। সূত্রের খবর, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, রাজনৈতিক নির্দেশনা অনুযায়ী ও সংঘর্ষের পর পুনরায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়েছে। তবে গাজায় ত্রাণবাহী সব ট্রাকের চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তার পূর্বনির্ধারিত ইসরায়েল সফর একদিনের জন্য স্থগিত করেছেন। এ প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, গাজায় বর্তমানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে চলতে চাই। হামাস কিছু উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল, তবে আমরা তা নিয়ন্ত্রণে রাখব বলে বিশ্বাস করছি।