মঙ্গলবার, ২১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জয়া আহসান: পরিচালকের বান্ধবী বা স্ত্রী হওয়া সম্ভব নয়

অভিনয় দিয়ে তিনি নির্মাণ করেছেন নিজস্ব মোহনীয় স্থান। ঢাকার মেয়ে হয়েও কলকাতার চলচ্চিত্র জগতের একজন জনপ্রিয় ও দাপটের সঙ্গে অবদান রেখে চলেছেন জয়া আহসান। তবে এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে তার উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখার সুযোগ হয়েছে, যার অনেক কারণই রয়েছে। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে তার এই বিষয়গুলো স্পষ্ট করেছেন তিনি।

জয়া বলেন, ‘তখন বাংলাদেশে আমি এমন ধরনের কাজ খুব একটা পাচ্ছিলাম না। এই পরিস্থিতির মধ্যে আমি কলকাতায় গিয়ে কাজ করতে সঙ্কোচবোধ করিনি, বরং শিল্পের প্রতি আমার গভীর প্যাশনের কারণে সেটাই করতে হয়েছে। আমি বলতে চাই, অভিনয় ছাড়া আমি অন্য কিছু পারিনা।’

দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনে কাজ করা সহজ নয়; এর জন্য পরিচালকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অনেক সময় প্রয়োজন হয়। তবে এই বিষয়টিকে তিনি মানতে চান না। তিনি বলেন, ‘যে পরিচালকদের জন্য আমি সব সময় প্রস্তুত ছিলাম, তারা আমাকে যথাযথভাবে ব্যবহার করেননি। বাংলাদেশে এক বড় সমস্যা হলো—পরিচালকের বান্ধবী বা স্ত্রী থাকা। এটা আমার জন্য সম্ভব নয়। আমি এসব ক্ষেত্রে কখনো যাবো না। এই কারণেই আমি কিছুটা দুরে সরে গিয়েছিলাম, এতটা নিবেদিত থাকার পরও। তবে কলকাতায় এই পরিস্থিতি ছিল না। ওখানে বাইরে থাকার পরও তারা আমাকে মূল্যায়ন করেছেন, আমাকে গুরুত্ব দিয়ে গল্পে রেখেছেন।’

জয়া আরো বলেন, ‘এখনো অনেক পরিচালকের মধ্যে নারCentered কাজ করতে ভয় রয়েছে। থাকলেও তারা বা তোলে শুধুমাত্র বান্ধবী বা স্ত্রীর চরিত্র। অথবা বড় মাপের তারকা বা সুপারস্টারকেই গুরুত্ব দেয়। একজন প্রত্যন্ত ও আর্টিস্টিক গুণসম্পন্ন অভিনেতাকে সুযোগ দেয়না।’ তবে ভালো নির্মাতাদের প্রতি ইম্প্যাথি না দেখিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, ‘অনেক ডাইনামিক পরিচালক আছেন, যাঁরা আমার মতো বা আরও দক্ষ অভিনেতাদের থেকে ভালো কাজ নিতে পারেন। কিন্তু তারা এড়িয়ে যান।’

অভিনেত্রীর সর্বশেষ কাজ হিসেবে দেখানো হয়েছে ‘ফেরেশতে’ সিনেমাটি। এটি বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের যৌথ প্রযোজনা। সিনেমার পরিচালনা করেছেন ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ। שচিত্রনাট্যে রয়েছে শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী, শিমু ও সুমন ফারুক।