বুধবার, ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল

বিজয় দিবসের স্মরণে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের আগমন ছিল ব্যাপক ও উল্লাসপূর্ণ। আজ দেশের জন্য আত্মোৎসर्गকারী বীর শহীদদের স্মরণে সর্বস্তরের জনগণ ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল থেকেই কাকচক্ষা, ফুলেল আনুষ্ঠানিকতা ও দেশপ্রেমের উচ্ছ্বাসে মুখরিত হয়ে উঠে এই মহান স্মৃতিসৌধের পরিবেশ।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথমে স্বশরীরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর থেকে সাধারণ জনগণের জন্য স্মৃতিসৌধের দ্বার উন্মুক্ত করা হয়, যেখানে হাজারো মানুষ অংশ নিয়েছেন।

প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর, রেওয়াজ অনুসারে, গত চার দিন স্মৃতিসৌধে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আজ সব বাধা দূরে সরিয়ে বহু দর্শনার্থী এসে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের স্মৃতি স্মরণ করেন। ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, শিশু-কিশোর, বয়োবৃদ্ধসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ দেশপ্রেমের ধারায় এসেছেন।

সকাল ৬টা ৩৩ মিনিটে রাষ্ট্রপতি প্রথম প্রহরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির বীর শহীদদের স্মৃতিতে সম্মান জানান। এরপর সকাল ৬টা ৫৭ মিনিটে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতিতে সম্মান জানান।

এসময় সেনা, নৌ, ও বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ দল রাষ্ট্রীয় সালাম দেয়। বিউগলের করুণ সুরে মন ভিজে যায় শ্রদ্ধা জানানো মানুষের মনে। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধে থাকা দর্শনার্থী বইতে স্বাক্ষর করেন।

ওই সময় আন্তঃবাহিনী প্রধান, বিচারপতি, কূটনীতিক, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতি অম্লান রাখতে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে আজ বিজয় দিবস পালন করছে দেশ। সরকার, রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই মহান দিনে দেশের স্বাধীনতা ও স্বপ্নের সূর্যস্তরকে স্মরণ করছে।