চলতি ডিসেম্বর মাসে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) যথেষ্ট হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই আয় বাড়ার ফলে ব্যাংকগুলোতে ডলারের উদ্বৃত্ত সৃষ্টি হয়েছে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবস্থাপনায় কিছু চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। পরিস্থিতি সমঝাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মঙ্গলবার (গতকাল, সোমবার) ১৩টি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে মোট ১৪ কোটি ডলারের ডলারের বিক্রয় করেছে। এই ক্রয় মাল্টিপল প্রাইস অকশন (এমপিএ) পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে ডলারের এক্সচেঞ্জ রেট ছিল প্রতি ডলার ১২২ টাকা ২৯ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ৩০ পয়সা। এই মাসে এখন পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৮০৪ মিলিয়ন বা ২.৮ বিলিয়ন ডলার ডলার ক্রয় করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ডিসেম্বরের প্রথম দশ দিনের মধ্যে দেশের রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ১২৯ কোটি ডলার। এর বিপরীতে, গত বছরের একই সময়ে প্রবাসী আয় ছিল ১০৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। এভাবে এই বছর রেমিট্যান্সে ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে।
অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৪৩৩ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ২২৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ, এই সময়ে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ বেড়েছে ১৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের উদ্যোগ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যক্রম, প্রণোদনা ও ব্যাংকিং সেক্টরের উন্নতি এই রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এর ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও স্থিতিশীল ও স্বস্তিতে রয়েছে।
এদিকে, নভেম্বর মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মোট ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন, যা দেশের মুদ্রায় প্রায় ৩৫ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। দেশের অর্থনীতিতে এই রেমিট্যান্সের অবদান ব্যাপক এবং এটি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন।





