‘ভারত সরকারের উচিত বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে ‘হামলা’ নিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সঙ্গে কথা বলা। বাংলাদেশের এই ধরনের ঘটনাকে হাতিয়ার করে ভারতীয় মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে কেন?’
হায়দ্রাবাদের সাংসদ ও অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি একথা বলেছেন। কেন ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন এবং বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিচ্ছেন সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। ওয়েইসি জানতে চান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার কি শেখ হাসিনার বক্তব্য সমর্থন করছে? ওয়েইসি মনে করিয়ে দেন, ভারতের পররাষ্ট্র নীতি একটি জাতি হিসাবে বাংলাদেশের সাথে আবদ্ধ, ‘কোনো বিশেষ পরিবারের সাথে নয়।’
গত কয়েক দিন ধরেই বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু-নির্যাতনকে’ সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয় বিজেপি। কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন অভিযান, পেট্রাপোল ও ঘোজাডাঙা সীমান্ত অবরোধ, কলকাতার রানি রাসমণি রোডে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির সমাবেশে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাংলাদেশে আটক চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন মঞ্চ থেকে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপি-বিরোধীদের মতে, বাংলাদেশকে সামনে রেখে রাজ্যে মেরুকরণের রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি।