শনিবার, ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জুলাই গণঅভ্যুত্থান গণতান্ত্রিক চর্চার নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে

বাংলাদেশে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান নতুন করে গণতান্ত্রিক চর্চার পথ প্রশস্ত করেছে। সাম্প্রতিক এই আন্দোলন দেশকে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরতে সহায়তা করেছে। এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সূচনা করেছে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।

রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত ‘বেঙ্গল ডেল্টা কনফারেন্স ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন, যিনি বলেন, আমরা পুরোনো রাজনৈতিক পদ্ধতিতে ফিরে যেতে চাই না। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই বিষয়ে আরও সচেতনতা প্রয়োজন, যাতে তারা ভবিষ্যত নেতৃত্ব গড়ে তুলতে পারে।

আরেক বক্তা, মালয়েশিয়ার সাবেক শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক মাজলি বিন মালিক, মন্তব্য করেন, বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি আবার ফিরে এসেছে। তিনি উল্লেখ করেন, সরকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একগুচ্ছ ইতিবাচক পরিবর্তন চলছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। এতে বোঝা যায়, এই আন্দোলনের ফলে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্থা আরও সংযুক্ত হচ্ছে এবং উন্নতির পথে ধাবিত হচ্ছে।

অতিরিক্ত বলে, এই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট সংস্কারগুলো কেবল দেশের জন্য নয়, বরং বিশ্বের সব দেশের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি বিভিন্ন দেশের জন্য একটি ধারাবাহিক উন্নয়নের নির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

অন্যদিকে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যার-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক সিদ্ধার্থ ভারদারাজান বলেন, বাংলাদেশ তার ভবিষ্যতের অর্থনীতি নিয়ে নতুন করে ভাবনা শুরু করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ যে লড়াইয়ে নামছে, তাতে নতুন ইতিহাস তৈরি হচ্ছে। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ বা শুল্ক নীতি নিয়ে বাংলাদেশ যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা দেশের অর্থনৈতিক রূপান্তরের দিক নির্দেশ করে। এর মাধ্যমে দেখা যায়, দেশের অর্থনীতি এখন আরও শক্তিশালী ও স্থিতিশীল হতে চলেছে।