রবিবার, ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আসামে জুবিন হত্যা নিয়ে উত্তাল, কারা ফটকে আগুন

আসামের পপ শিল্পকর্তা ও গায়ক জুবিন গার্গের মৃত্যুর ঘটনা এখনও রহস্যাবৃত। ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করার সময় তার মৃত্যু হয়। ভক্তরা দাবি করছেন যে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে আসাম পুলিশ ইতোমধ্যে তার ব্যান্ডের দুই সদস্য, দেহরক্ষী, সিঙ্গাপুরের এক ফেস্টিভেল আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত একজন এবং এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করে।

গতকাল বুধবার গ্রেফতারকৃতদের বকসা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়। কারাগারে নেওয়ার খবর পেয়ে গায়কের অনুরাগীরা কারা ফটকের সামনে জড়ো হয়ে ওঠে। সেখানে পুলিশ ভ্যান আসার সঙ্গে সঙ্গে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে শুরু করেন এবং গ্রেফতারকৃতদের বিচার চায়।

তবে এই আন্দোলনের উত্তেজনা ক্রমশ বেড়ে গেলে কিছু বিক্ষোভকারীর ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তারা ইটপাথর ছুড়তে শুরু করে, যার ফলে পুলিশ ভ্যানের ক্ষতি হয়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, ফাঁকা গুলি চালায় এবং টিয়ার গ্যাস ছোড়ে।

প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কারাগারের আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। এছাড়াও, কারাগার কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করতে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে।

বকসা জেলা কারাগারে র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। নতুন করে কোনও অপ্রয়োজনীয় ঝামেলা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জুবিনের মৃত্যুর পর সিঙ্গাপুরের পুলিশ জানায় তার মৃত্যু স্বাভাবিক। তবে তার স্ত্রী গরিমা ও অনুরাগীরা এই মৃত্যুর পেছনে ষড়যন্ত্রের সন্দেহ প্রকাশ করেন। এরপরই আসামে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয় ব্যাপক তদন্তের জন্য।

এদিকে, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বুধবার বকসার ঘটনাকে খুবই দুঃখজনক বলেন। তিনি বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল জুবিনের মৃত্যুকে ঘিরে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। যা বাংলার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিয়ন্ত্রিত রাখতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।